স্বদেশ ডেস্ক:
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাতগামীদের (ইউএই) করোনা পরীক্ষা করাতে ছয় প্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত অনুমোদন মিলেছে। জনপ্রতি পরীক্ষা ফি ১ হাজার ৬০০ টাকা নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কারিগরি কমিটি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে নিয়মিত ফ্লাইট চালুর বিষয়ে এখন আর কোনো বাধা থাকল না। এ বিষয়ে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান আমাদের সময়কে বলেন, ‘ইউএইর ঢাকাস্থ দূতাবাসের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। মৌখিকভাবে ছয় প্রতিষ্ঠানকে করোনা পরীক্ষার অনুমোদন মিলেছে। সব কিছু চূড়ান্ত। নিয়মিত ফ্লাইট শুরু হবে এখন।’
প্রবাসীকর্মী ও যাত্রীদের দ্রুততম সময়ে করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য আগেই বিমানবন্দরে ল্যাব স্থাপন করেছে ছয় প্রতিষ্ঠান। স্যাম্পল কালেকশন বুথ স্থাপনসহ অন্যান্য সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন হয়েছে। অপেক্ষা ছিল কেবল অনুমোদনের। এদিকে পরীক্ষামূলক হিসেবে গত সোমবার রাতে বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা করিয়ে এমিরেটস এয়ার লাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে দুবাই
গেছেন ৭০ যাত্রী। তারও আগে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত রবিবার ৯৬ জনের করোনা পরীক্ষার ট্রায়াল রান করে অনুমতিপ্রাপ্ত ছয় প্রতিষ্ঠান। তাদের সবারই ফল নেগেটিভ আসে। অনুমোদন পাওয়া ছয়টি প্রতিষ্ঠান হলোÑ গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড, স্টেমজ হেলথকেয়ার (বিডি) লিমিটেড, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক।
বর্তমানে করোনার কারণে ইউইএর সঙ্গে নিয়মিত ফ্লাইট বন্ধ থাকায় বেবিচকের অনুমতি সাপেক্ষে এমিরেটস এয়ারলাইন্স স্বল্পসংখ্যক বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করছে। তবে গত আগস্টে শর্ত দেওয়া হয়, দেশটিতে যেতে হলে যাত্রার ছয় ঘণ্টা আগে লাগবে বিমানবন্দরে করোনার আরটি পিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ সনদ। কিন্তু বাংলাদেশের তিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই এমন ব্যবস্থা না থাকায় কর্মস্থলে যেতে বিপাকে পড়েন প্রবাসীরা। এর মধ্যে কারও ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে যায়। তাই দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে দ্রুত করোনার আরটি পিসিআর পরীক্ষাগার স্থাপনের দাবি জানান প্রবাসীরা। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের ছয়টি ল্যাবের মাধ্যমে ১২টি মেশিন বসানো হয়। এই ল্যাবগুলোর মাধ্যমে প্রতিদিন অন্তত সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার মানুষ করোনা পরীক্ষা করতে পারবেন। এখানে দ্রততম সময়ে পরীক্ষার জন্য র্যাপিড পিসিআর ল্যাব এবং সাধারণ পরীক্ষার জন্য আরটি পিসিআর ল্যাব দুটিই কাজ করবে।